বৃহস্পতিবার, ০২ মে ২০২৪, ১৮ বৈশাখ ১৪৩১

জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু – একজন রাজনৈতিক নক্ষত্র

জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু – একজন রাজনৈতিক নক্ষত্র।

কাজি মোস্তফা রুমি: ” নতুন প্রজন্মের কাছে একটি আধুনিক ও স্মার্ট নাগরপুর দেলদুয়ার উপহার দিতে চাই”- এই বাণীটিকে বুকে ধারণ করে টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর-দেলদুয়ারে আওয়ামী রাজনীতির অঙ্গনে জনপ্রিয়তার সর্বোচ্চ শিখরে অবস্থান করছেন বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া বিষয়ক উপ-কমিটির নবনির্বাচিত সদস‍্য, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামীলীগের অন্যতম প্রভাবশালী কর্মীবান্ধব জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু।

তিনি টাঙ্গাইল জেলার নাগরপুর থানার ঐতিহ্যবাহী তেবাড়িয়া গ্রামে এক সম্ভ্রান্ত মুসলিম পরিবারের জন্মগ্রহণ করেন। তাঁর পিতা অ্যাডভোকেট হুমায়ূন হোসেন খান ছিলেন বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্টের একজন স্বনামধন্য আইনজীবী। তিনি আওয়ামীলীগ বিরোধী দলে থাকার সময় বহু আওয়ামীলীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিকলীগ নেতৃবৃন্দদের স্বতঃস্ফূর্তভাবে আইনি সহায়তা প্রদান করেছিলেন।

তারেক শামস্ খান হিমু ১৯৮৭ সালে ছাত্র রাজনীতির সাথে সম্পৃক্ত হন। ছাত্র রাজনীতিতে সম্পৃক্ত হয়ে ১৯৯০ সালে স্বৈরাচারী সরকার এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে রাজপথে কাঁপিয়েছেন এই রাজনৈতিক নেতা। ১৯৯২ থেকে ১৯৯৫ পর্যন্ত তিনি মস্কো ছাত্রলীগের সভাপতি হিসেবে সফলতার সাথে দায়িত্ব পালন করেছেন।

১৯৯৬ সালে লন্ডন থেকে উচ্চশিক্ষা শেষ করে বাংলাদেশে এসে ঢাকায় রমনা থানা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে জনতার মঞ্চ আন্দোলনে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন। এরপর ১৯৯৬ সালে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকার গঠন করলে তিনি রমনা থানা যুবলীগের সক্রিয় কর্মী হিসেবে কাজ শুরু করেন। সে সময় তিনি বিএনপি জামাত সন্ত্রাসীদের নির্মূলে অগ্রণী ভূমিকা পালন করেন।

এরপর ২০০১ সালে নাগরপুরের সাড়ে তিন লক্ষ মানুষের প্রাণের দাবি এলাসিন সেতু নিয়ে তৎকালীন বিএনপি’র সরকার নাগরপুরের মানুষের সাথে যে টালবাহানার নাটক শুরু করেছিল তার প্রতিবাদে কঠিন আন্দোলন গড়ে তোলেন। আন্দোলন হিসেবে মুক্তাঙ্গনে ও ধলেশ্বরী নদীর বুকে নৌকার মিছিল সহ বিভিন্ন জায়গায় মানববন্ধন, তৎকালীন প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয় ঘেরাও এবং নাগরপুর উপজেলা অফিস ঘেরাও সহ সকল কর্মসূচিতে একক নেতৃত্বে সংঘটিত করেছিলেন। তিনি ধলেশ্বরী সেতু বাস্তবায়ন কমিটি নামক একটি সংগ্রামী সংগঠন গড়ে তোলেন, এতে তিনি আহবায়ক হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন যার পরিপ্রেক্ষিতে তৎকালীন উপজেলা নির্বাহী অফিসারের রোশানলে পড়েন এবং তার বিরুদ্ধে রাষ্ট্রদ্রোহ মামলা দায়ের করা হয়। এতে করে তিনি বেশ কিছুদিন তার জন্মভূমি নাগরপুরের মাটিতে পা রাখার সুযোগ থেকে বঞ্চিত হয়েছিলেন।

এরপর ২০০২ সালে গণতন্ত্রের মানসকন্যা, জননেত্রী শেখ হাসিনা বাংলাদেশের সাবেক ছাত্রলীগের নেতাদের নিয়ে বায়ান্ন সদস্য বিশিষ্ট একটি উপকমিটি গঠন করলে সেখানে তিনি সহ-সম্পাদক নির্বাচিত হন।

এরপর ধারাবাহিকভাবে তিনি ২০০৭,২০১৪ ও ২০১৮ সালে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ এর কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির অন্যতম প্রভাবশালী সদস্য হিসেবে দায়িত্ব পালন করে আসছেন।

সেই সাথে ২০২২ সালে আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় কমিটির সম্মেলন অনুষ্ঠিত হওয়ার পর পুনরায় তিনি কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির দায়িত্বে আসেন।

এছাড়া তিনি ঢাকার বাংলাবাজারে পুস্তক বাধাই শ্রমিক মালিকদের মধ্যে এক সেতু বন্ধন তৈরি করেন। সেখানে ঢাকাস্থ নাগরপুর উপজেলার কর্মরত বিশ হাজার পুস্তক বাধাই শ্রমিকদেরকে নিয়ে তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে সকল প্রকার আন্দোলন সংগ্রামে এককভাবে নেতৃত্ব প্রদান করেন। তিনি পুস্তক বাধাই শ্রমিক ও মালিক সমিতির আহবায়ক হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন।

বাংলাদেশের বিভিন্ন পাটকল বিশেষ করে ইউএমসি জুট মিল, আহমেদ বাওয়ানি জুট মিল, জনতা জুট মিলে দেলদুয়ার নাগরপুরের প্রায় ৭ থেকে ৮ হাজার পাট কল শ্রমিকদের ন্যায্য দাবি আদায়ের লক্ষ্যে কঠিন আন্দোলন এবং তাদের ন্যায্য দাবি আদায়ে একক নেতৃত্ব প্রদান করেন।

এছাড়াও ২০০৬ সালে তত্ত্বাবধায়ক সংস্কারের দাবিতে টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় পথসভা থেকে শুরু করে ৩০-৪০ টি উঠান বৈঠক সম্পন্ন করেন যা বাংলাদেশের সকল অঞ্চলে নেতৃবৃন্দদের মধ্যে সারা ফেলে। এভাবেই তিনি মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আস্থাভাজন হয়েছেন।

এছাড়াও তথাকথিত সেনা সমর্থিত তত্ত্বাবধায়ক সরকারের সময় তিনি বেশ কয়েকটি মিথ্যা রাজনৈতিক মামলা ও বিভিন্নভাবে হামলার শিকার হয়েছেন।একপর্যায়ে তার সেগুনবাগিচার বাণিজ্যিক কার্যালয় তছনছ করে দেওয়া হয় এবং ক্যান্টনমেন্টের সেনা ক্যাম্পে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। এমনকি তাকে দেশ ত্যাগে নিষেধাজ্ঞা প্রদান করা হয়।

এই সময়ে তিনি জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনার আন্দোলন সংগ্রামের বিষয়ে “বিজয়ের মালা” নামে একটি গ্রন্থ প্রকাশ করেন, যা বাংলাদেশে ব্যাপক সাড়া পড়ে।

বর্তমানে তিনি নাগরপুর এবং দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামীলীগ ও তৃণমূল আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দদেরকে সাথে নিয়ে ঐক্যবদ্ধভাবে প্রত্যেকটি অঞ্চলে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ সরকারের উন্নয়নের তথ্যচিত্র সকল জনগণের দ্বারে দ্বারে ধারাবাহিকভাবে পৌঁছে দিচ্ছেন। এছাড়া দেলদুয়ার ও নাগরপুর উপজেলা আওয়ামীলীগ কর্তৃক আয়োজিত প্রতিটি জাতীয় ও দলীয় অনুষ্ঠানে অংশগ্রহণ করছেন।

আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে তিনি টাঙ্গাইল-৬ নাগরপুর দেলদুয়ারের আসন থেকে বাংলাদেশ আওয়ামীলীগ তথা নৌকা মার্কার মনোনয়ন প্রত্যাশী।

এ বিষয়ে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমুর সাথে গণমাধ্যমের সংক্ষিপ্ত আলোচনা হয়।

আলোচনায় তিনি বলেন- “আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে আমি নৌকা মার্কা তথা বাংলাদেশ আওয়ামীলীগের একজন মনোনয়ন প্রত্যাশী। আমি ছাত্র জীবন থেকেই নাগরপুরে আওয়ামী রাজনীতির সাথে আছি। আমার রক্তের প্রতিটি স্পন্দন বাংলাদেশ আ’লীগের স্পন্দন।

তাই আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে যদি আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী দেশরত্ন শেখ হাসিনা তৃণমূল আ’লীগ নেতৃবৃন্দদের মতামতের ভিত্তিতে নৌকা মার্কা থেকে আমাকে মনোনয়ন দেন তাহলে ইনশাআল্লাহ্ আমি নৌকার বিজয় সুনিশ্চিত করতে পারব, যা ইতিমধ্যেই আপনারা বিভিন্নভাবে তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ করেছেন।

এটি সুনিশ্চিত করে বলতে পারি আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বাংলাদেশ আওয়ামী লীগকে পুনরায় সরকার গঠনের লক্ষ্যে নাগরপুর ও দেলদুয়ারে ঐক্যবদ্ধভাবে কাঁধে কাঁধ মিলিয়ে বিগত সময়ের মতো কাজ করে নৌকার বিজয় নিশ্চিত করব এবং দেশবিরোধী যে কোন ষড়যন্ত্র নস্যাৎ করে উন্নয়নের অগ্রযাত্রা অব্যাহত রাখার চেষ্টা করব,ইনশাআল্লাহ্।