শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

প্রেমের শাস্তি হিসেবে আদিবাসী তরুণীকে ‘গণধর্ষণ’

আজকের দেশবার্তা রিপোর্টঃ ভারতের বীরভূমে প্রেমের শাস্তি হিসেবে স্বামীহারা আদিবাসী তরুণীকে গণধর্ষণ এবং সালিশি বসিয়ে জরিমানা চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। ওই ঘটনায় গ্রেফতার হয়েছে ওই গ্রামেরই মোড়লসহ তিনজন। শনিবার (২২ আগস্ট) আনন্দবাজার পত্রিকা এ খবর প্রকাশ করেছে।
পুলিশ ও স্থানীয় সূত্রে জানা গেছে, দুই সন্তানের মা, বছর ত্রিশের ওই তরুণীর মহম্মদবাজারের চরিচা পঞ্চায়েত এলাকার বাসিন্দা। কয়েক বছর আগে তার স্বামী মারা যান। এলাকারই এক যুবকের সঙ্গে তার সম্পর্ক গড়ে ওঠে। তবে ওই যুবক ভিনজাতের হওয়ায় তা ভালো চোখে দেখেনি গ্রামবাসীদের একাংশ।

পুলিশের কাছে লিখিত অভিযোগে নির্যাতিতা জানিয়েছেন, ১৮ আগস্ট গ্রামে পূজা ছিল। সে দিন সন্ধ্যায় শেওড়াকুড়ি মোড় থেকে তিনি ওই যুবকের সঙ্গে গ্রামে ফিরছিলেন। তখনই গ্রামের বেশ কিছু লোক তাদের ক্লাবঘরে নিয়ে গিয়ে মারধর করে। রাত প্রায় আড়াইটার দিকে ক্লাবের সদস্য পাঁচ যুবক পাশের জঙ্গলে নিয়ে গিয়ে তাকে গণধর্ষণ করে।ঘটনার তীব্র নিন্দা জানিয়েছেন আদিবাসী সংগঠন ভারত জাকাত মাঝি পারগানা মহলের সম্পাদক নিত্যানন্দ হেমব্রমও।


উল্লেখ্য, ২০১৩ সালের ২০ জানুয়ারি লাভপুরের সুবলপুরেও ভিনজাতে সম্পর্ক রাখার ‘অপরাধে’ আদিবাসী তরুণী ও তার সঙ্গীকে রাতভর গাছে বেঁধে মারধর করা হয়েছিল। পর দিন সালিশি বসিয়ে গ্রামের মেয়েটিকে নিয়ে ‘ফুর্তি’ করার রায় দেয়। গণধর্ষণের সেই মামলায় ১৩ জন সাজা পায়।
জেলা পুলিশ সুপার শ্যাম সিংহ বলেন, নির্যাতিতা পাঁচ যুবকের বিরুদ্ধে অভিযোগ এনেছেন। জলপা হাঁসদা ও তাম্বর মরান্ডি নামে দুজন ইতিমধ্যে ধরা পড়েছে। রোববার দুপুরে গ্রেফতার করা হয়েছে গ্রামের মোড়লকেও।
মামলার এপিপি শুভাশিস চট্টোপাধ্যায় বলেন, পুলিশ আটক দুজনের ১০ দিনের রিমান্ড চেয়েছিল। সাত দিন মঞ্জুর করেছেন বিচারক। এ দিনই নির্যাতিতার জবানবন্দি নেয়া হয়েছে।