শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১২ বৈশাখ ১৪৩১

স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে গড়িমসি, অ্যাকশনে যাবে ইউজিসি

নিজস্ব সংবাদদাতা : দেশে অনুমোদনপ্রাপ্ত বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের সংখ্যা ১০৬। এর মধ্যে শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করছে ৯৬টি। ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে পুরোপুরি বা আংশিক শিক্ষা কার্যক্রম চালাচ্ছে। তবে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে এখনো গড়িমসি করছে ৩৫টি বিশ্ববিদ্যালয়। এছাড়া লোক-দেখানো স্থায়ী ক্যাম্পাসও রয়েছে একাধিক প্রতিষ্ঠানের। করোনা সংকট কেটে গেলে ওইসব বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিরুদ্ধে অ্যাকশনে যাবে বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশন (ইউজিসি)।

জানা যায়, আইনি বাধ্যবাধকতা ও ইউজিসির চাপে বেশ কিছু বিশ্ববিদ্যালয় ঢাকা থেকে বেশ দূরে গড়ে তুলেছে স্থায়ী ক্যাম্পাস। তবে ওই ক্যাম্পাসে তেমন কোনো শিক্ষা কার্যক্রম পরিচালনা করা হচ্ছে না। বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আইন ২০১০ অনুযায়ী, অনুমোদনের ১২ বছরের মধ্যে স্থায়ী ক্যাম্পাসে যাওয়ার বাধ্যবাধকতা রয়েছে। প্রথমে সাত বছরের জন্য সাময়িক সনদ পায়। এরপর তা সর্বোচ্চ পাঁচ বছর পর্যন্ত নবায়নের সুযোগ আছে। ঢাকা ও চট্টগ্রাম মেট্রোপলিটন এলাকায় একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের স্থায়ী ক্যাম্পাস নির্মাণে ন্যূনতম এক একর এবং অন্যান্য এলাকায় কমপক্ষে দুই একর অখণ্ড জমি থাকতে হবে।

সূত্র জানায়, গত ৩১ জুলাই পর্যন্ত ৭১টি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাময়িক সনদের মেয়াদ পেরিয়ে গেছে। এর মধ্যে সাতটি মেয়াদ নবায়নের আবেদন করেছে। আর তিনটি তাদের শিক্ষা কার্যক্রম স্থায়ী ক্যাম্পাসে স্থানান্তর করেছে। বাকি ২৬টির সাময়িক সনদের মেয়াদ বৃদ্ধির সুযোগ আছে। আর ৪১টির মেয়াদ বাড়ানোর সুযোগ নেই।

সংশ্লিষ্টরা বলছেন, বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয়গুলো স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়ার বিষয়টি নিয়ে শিক্ষা মন্ত্রণালয় অনেকটাই উদাসীন। প্রায় তিন বছর আগে মন্ত্রণালয়েরই এক সভায় এসব বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষার্থী ভর্তি, নতুন বিভাগ ও অনুষদ খোলা এবং সমাবর্তন আয়োজনের অনুমতি স্থগিত রাখার সিদ্ধান্ত হয়েছিল; কিন্তু রহস্যজনক কারণে সেই উদ্যোগ বাস্তবায়িত হয়নি।

তবে দেশের করোনা পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়ে গেলে স্থায়ী ক্যাম্পাসে না যাওয়া বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার কথা জানিয়েছেন ইউজিসির চেয়ারম্যান অধ্যাপক ড. কাজী শহীদুল্লাহ। তিনি বলেন, করোনাভাইরাস সংক্রমণের কারণে আমরা এ ব্যাপারে ব্যবস্থা নিতে পারিনি। আশা করছি, আর দু-তিন মাস পর করোনার সমস্যা কেটে যাবে। এরপর আমরা অ্যাকশনে যাব। ইতিমধ্যে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর বর্তমান অবস্থা জানতে আমরা কাজ শুরু করেছি।’

তিনি আরও বলেন, ‘নির্ধারিত সময় পার করেও অনেক বিশ্ববিদ্যালয় স্থায়ী ক্যাম্পাসে যেতে পারেনি। কিছু প্রতিষ্ঠান দূরে স্থায়ী ক্যাম্পাস করার পরও ভাড়া বাড়িতেই কার্যক্রম চালাচ্ছে। অনেকে ইচ্ছাকৃতভাবেও যাচ্ছে না।