মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

৩১ মে থেকে যে ট্রেনগুলো চলতে পারে

টানা দুই মাস ধরে চলা সাধারণ ছুটি আর না বাড়িয়ে সীমিত আকারে গণপরিবহণ চলাচলের অনুমতি দিয়েছে সরকার। এতে বাস, লঞ্চের পাশাপাশি ট্রেন চলাচলও শুরু হচ্ছে। প্রাথমিকভাবে আটটি ট্রেন চালু করার প্রস্তাবনা দিয়েছে রেলপথ মন্ত্রণালয়। ৩১ মে থেকে সীমিত পরিসরে আন্তঃনগর ট্রেন চলাচল শুরু করতে পারে বলে জানা গেছে। বৃহস্পতিবার প্রাথমিকভাবে চলাচলের জন্য আটটি ট্রেনের নাম প্রস্তাব করা হয়েছে। 
প্রস্তাবনা অনুসারে প্রথমে ছয়টি রুটে একটি করে ট্রেন চলবে। এগুলো হলো, ঢাকা-লালমনিরহাট রুটে লালমনি এক্সপ্রেস, ঢাকা-পঞ্চগড় রুটে পঞ্চগড় এক্সপ্রেস, ঢাকা-খুলনা রুটে চিত্রা এক্সপ্রেস, ঢাকা-রাজশাহী রুটে বনলতা এক্সপ্রেস, ঢাকা-সিলেট রুটে কালনী এক্সপ্রেস এবং চট্টগ্রাম-সিলেট রুটে উদয়ন/পাহাড়িকা এক্সপ্রেস। এছাড়া ঢাকা-চট্টগ্রাম রুটে সুবর্ণ এক্সপ্রেস ও সোনার বাংলা এক্সপ্রেস চলাচল করবে। 
এছাড়া ৩ জুন থেকে আরো নয়টি ট্রেন চলাচল শুরুর প্রস্তাব করা হয়েছে। এগুলো হলো ঢাকা-দেওয়ানগঞ্জ বাজার রুটে তিস্তা এক্সপ্রেস, ঢাকা-বেনাপোল রুটে বেনাপোল এক্সপ্রেস, ঢাকা-চিলাহাটি রুটে নীলসাগর এক্সপ্রেস, খুলনা-চিলাহাটি রুটে রূপসা এক্সপ্রেস, খুলনা-রাজশাহী রুটে কপোতাক্ষ এক্সপ্রেস, রাজশাহী-গোয়ালন্দঘাট রুটে মধুমতি এক্সপ্রেস, চট্টগ্রাম-চাঁদপুর রুটে মেঘনা এক্সপ্রেস, ঢাকা-কিশোরগঞ্জ রুটে কিশোরগঞ্জ এক্সপ্রেস এবং ঢাকা-নোয়াখালী রুটে উপকূল এক্সপ্রেস। 
এর আগে ৩১ মে থেকে ১৫ জুন পর্যন্ত কীভাবে গণপরিবহনগুলো চলবে সে বিষয়ে সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয় ও বিভাগ নির্দেশনা জারি করবে বলে বৃহস্পতিবার মন্ত্রিপরিষদ বিভাগের এক আদেশে জানানো হয়েছে।
সেখানে বলা হয়, ওই সময়ে সীমিত পরিসরে নির্দিষ্ট সংখ্যক যাত্রী নিয়ে স্বাস্থ্যসম্মত বিধি নিশ্চিত করে গণপরিবহন, যাত্রীবাহী নৌযান ও রেল চলাচল করতে পারে। তবে সব অবস্থায় মাস্ক পরাসহ স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের জারি করা নির্দেশনা কঠোরভাবে মেনে চলা নিশ্চিত করতে হবে।