মঙ্গলবার, ০৭ মে ২০২৪, ২৪ বৈশাখ ১৪৩১

বয়স্ক-বিধবা-স্বামী পরিত্যক্তা-প্রতিবন্ধীদের জন্য বরাদ্দ বাড়ছে

২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে নতুন করে আরও ১১ লাখ ৫ হাজার মানুষকে বয়স্ক ভাতা, বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতা এবং অসচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতার আওতায় আনার প্রস্তাব করা হয়েছে।বৃহস্পতিবার সংসদে বাজেট বক্তৃতায় এ প্রস্তাব দিয়েছেন অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল।

তিনি বলেন, ‘করোনাভাইরাসের কারণে সর্বাধিক দারিদ্র্যপ্রবণ ১০০টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সকল দরিদ্র প্রবীণ ব্যক্তিকে বয়স্ক ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে ৫ লাখ নতুন উপকারভোগী যোগ হবে এবং এ খাতে ৩০০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।’

অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বাধিক দারিদ্র্য প্রবণ ১০০টি উপজেলায় বিদ্যমান নীতিমালা অনুযায়ী সকল বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা নারীকে বিধবা ও স্বামী পরিত্যক্তা ভাতার আওতায় আনা হবে। এতে করে ৩ লাখ ৫০ হাজার নতুন উপকারভোগী যোগ হবে এবং এ খাতে ২১০ কোটি টাকা অতিরিক্ত বরাদ্দ প্রদান করা হবে।’

সংসদে অর্থমন্ত্রী বলেন, ‘সর্বশেষ প্রতিবন্ধিতা শনাক্তকরণ জরিপ অনুযায়ী, ২ লাখ ৫৫ হাজার জন নতুন ভাতাভোগী যুক্ত করে অস্বচ্ছল প্রতিবন্ধী ভাতা ভোগীর সংখ্যা ১৮ লাখে বৃদ্ধি করা হবে এবং এ বাবদ ২২৯ কোটি ৫০ লাখ টাকা অরিতিক্ত বরাদ্দের প্রয়োজন হবে।’

এ ছাড়া দরিদ্র মায়ের জন্য মাতৃত্বকাল ভাতা, কর্মজীবী ল্যাকটেটিং মাদার সহায়তা, ভিজিডি কার্যক্রম, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানী ভাতা, অতি দরিদ্রদের জন্য কর্মসংস্থান, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে বিশেষ ভাতা, বেদে ও অনগ্রসর জনগোষ্ঠীর জীবনমান উন্নয়নে শিক্ষা উপবৃত্তি ও প্রশিক্ষণ, ক্যান্সার, কিডনি ও লিভার সিরোসিস রোগীদের সহায়তা, চা শ্রমিকদের জীবনমান উন্নয়ন কর্মসূচি ইত্যাদি কার্যক্রম অব্যাহত থাকবে বলেও জানান অর্থমন্ত্রী।

সংসদ অধিবেশন শুরুর পর স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর অনুমোদনক্রমে প্রস্তাবিত বাজেট উপস্থাপন শুরু করেন অর্থমন্ত্রী। এটি দেশের ৪৯তম এবং অর্থমন্ত্রী হিসেবে মুস্তফা কামালের দ্বিতীয় বাজেট।

এবারের বাজেটের আকার ধরা হয়েছে ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা, যা জিডিপির ১৭ দশমিক ৯ শতাংশ। প্রস্তাবিত বাজেটের আকার চলতি অর্থবছরের সংশোধিত বাজেটের চেয়ে ১৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বেশি। আগামী অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেটে পরিচালনসহ অন্যান্য খাতে মোট বরাদ্দ রাখা হয়েছে ৩ লাখ ৬২ হাজার ৮৫৫ কোটি টাকা এবং বার্ষিক উন্নয়ন কর্মসূচিতে বরাদ্দ ধরা হয়েছে ২ লাখ ৫ হাজার ১৪৫ কোটি টাকা।