শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

উপবৃত্তি পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও

উপবৃত্তি পাবেন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীরাও বিশ্ববিদ্যালয় পর্যায়ে স্নাতকে অধ্যয়নরত শিক্ষার্থীরা প্রধানমন্ত্রীর শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের অধীনে উপবৃত্তি পাবেন। নির্ধারিত কিছু শর্তের ভিত্তিতে শিক্ষার্থী নির্বাচন করা হবে। চার বছর মেয়াদি স্নাতকের পাশাপাশি এমবিবিএসের মতো পাঁচ বছর মেয়াদি কোর্সের শিক্ষার্থীরাও উপবৃত্তি পাবেন। বৃত্তির জন্য বিবেচিত একেকজন শিক্ষার্থী কোর্স সম্পন্ন করা পর্যন্ত বছরে ৫ হাজার টাকা করে পাবেন। বর্তমানে ষষ্ঠ থেকে স্নাতক (পাস) শ্রেণি পর্যন্ত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পান। প্রাথমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদাভাবে উপবৃত্তি দেয় প্রাথমিক ও গণশিক্ষা মন্ত্রণালয়। কারিগরি শিক্ষা অধিদপ্তরের অধীনেও উপবৃত্তি দেওয়া হয় কিছু শিক্ষার্থীকে।নতুন অর্থবছর থেকে অনার্স পর্যায়ে উপবৃত্তি দেওয়ার পরিকল্পনা আছে। এ স্তরের শিক্ষার্থীদের কিভাবে উপবৃত্তি দেওয়া হবে, ইতোমধ্যে তার নির্দেশিকা ঠিক করা হয়েছে। উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য কিছু শর্ত মানতে হবে। শর্তের মধ্যে আছে—নিয়মিত শিক্ষার্থী হতে হবে। শ্রেণিকক্ষে ৭০ শতাংশ উপস্থিতি থাকতে হবে। পরীক্ষায় ন্যূনতম ৬০ শতাংশ নম্বর বা জিপিএ–৩.৭৫ অথবা ৪–এর স্কেলে ৩ পেতে হবে। বাবা–মা বা অভিভাবকের আয় বছরে ২ লাখ টাকার কম হতে হবে। সরকারি, আধা সরকারি ও স্বায়ত্তশাসিত দপ্তর ও সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কর্মরত ১৩ থেকে ২০তম গ্রেডের কর্মচারীদের সন্তান উপবৃত্তি পাওয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে। বিশেষ চাহিদাসম্পন্ন, এতিম, হিজড়া বা ট্রান্সজেন্ডার শিক্ষার্থী, ভূমিহীন পরিবারের সন্তান, বীর মুক্তিযোদ্ধার সন্তান বা তাদের সন্তানের সন্তান, দুর্যোগে ক্ষতিগ্রস্ত ও দুস্থ পরিবারের সন্তান অগ্রাধিকার পাবেন। এ বিষয়ে ট্রাস্টের পরিচালক (অতিরিক্ত সচিব) কাজী দেলোয়ার হোসেন বলেন, এখন উপবৃত্তি দেওয়ার কাজটি অনলাইনে করা হয়। তাই ডেটাবেজের প্রয়োজন আছে। দু-একটি ছাড়া কোনো বিশ্ববিদ্যালয়েই ডেটাবেজ নেই। এ স্তরের শিক্ষার্থীদের আলাদা সফটওয়্যার তৈরি করে উপবৃত্তি দেওয়া হবে। এ পর্যায়ে বিবাহিত শিক্ষার্থীরা উপবৃত্তি পাবেন কি না, তা নিয়ে পক্ষে-বিপক্ষে মত এসেছে। তবে, চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত হয়নি। দেশে ৫৪টি সরকারি ও ১১২টি বেসরকারি বিশ্ববিদ্যালয় আছে। মোট শিক্ষার্থী ৪৪ লাখ ৪১ হাজার ৭১৭ জন। এর মধ্যে কতজন শিক্ষার্থী উপবৃত্তি পাবেন, সেটি নির্ধারিত নয়। শিক্ষা সহায়তা ট্রাস্টের স্থায়ী তহবিল হিসেবে অর্থ মন্ত্রণালয় থেকে থোক বরাদ্দ হিসেবে ১ হাজার কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। সেটার ভিত্তিতে ব্যাংকে রাখা টাকার এফডিআর থেকে প্রাপ্ত লভ্যাংশ দিয়ে উপবৃত্তি ও আর্থিক সহায়তা দেওয়া হবে।