শনিবার, ০৪ মে ২০২৪, ২১ বৈশাখ ১৪৩১

টাঙ্গাইলের মধুপুরে লকডাউন মানছে না কেউ

টাঙ্গাইলের মধুপুরে লকডাউন মানছে না কেউ। আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর তৎপরতা সত্ত্বেও বাহিরে বের হচ্ছে মানুষ। লকডাউন ভেঙে পৌর শহরের বাজারে সামাজিক দুরত্ব না মেনেই কেনাবেচায় ব্যস্ত সবাই। প্রত্যন্ত এলাকার হাটবাজারের চিত্র আরও ভয়াবহ। প্রশাসন তথা আইন শৃঙ্খলা বাহিনীর টহল চলে গেলেই সেখানে আগের মতোই জনসমাগম। এতে ক্রমেই বাড়ছে করোনা ঝুঁকি। সরেজমিন ঘুরে এমন চিত্রই দেখা গেছে। পৌর শহরের নতুন বাজার, যেখানে শুক্র ও মঙ্গলবার সাপ্তাহিক হাট বসে। ওই বাজারসহ উপজেলার সকল সাপ্তাহিক হাট বন্ধে প্রশাসনের গণ বিজ্ঞপ্তি প্রকাশে নিয়মিত মাইকিং হয়েছে। তবুও জনমনে ওই বিজ্ঞপ্তি তেমন সারা ফেলতে পারেনি। শুক্রবার রীতিমত হাট বসেছিল মধুপুর পৌর শহরের ওই নতুন বাজার হাটখোলায়। উপচে পড়া ভীড় ঠেলে বাজার করেছেন লোকজন। মধুপুর রাণী ভবানী সরকারি উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে, শহীদ স্মৃতি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যায়ের কলেজ শাখার মাঠে, মোটেরবাজার, কুড়াালিয়া, শোলাকুড়ি, ফুলবাগচালা, পিরোজপুর, চাপড়ী বাজারেও অনুরূপ দৃশ্য পরিলক্ষিত হয়।

এদিকে টাঙ্গাইল জেলা প্রশাসনের গত ৭ এপ্রিল পুরো জেলা লকডাইন ঘোষণার সাথে মধুপুরও পৃথকভাবে লকডাউনের ঘোষণা দিয়ে চারটি স্থানে প্রশাসন পুলিশের চেকপোস্ট বসায়। একই সময়ে মধুপুর উপজেলা প্রশাসন এবং মধুপুর শিল্প ও বণিক সমিতি মিলে শহরের সমস্ত দোকাটপাট বন্ধের সিদ্ধান্ত নেয়। কিন্তু নামেমাত্র বন্ধ থাকলেও চলছে বেচা কেনা। পৌর শহরের ৫/৭ টি মার্কেটের প্রায় সব দোকানের সামনে বা আশে পাশেই অবস্থান করেন দোকানি বা কর্মচারি। ক্রেতা দেখলে ইশারায়/ চুপিসারে দোকানে শার্টার খুলে ভিতরে প্রবেশ করে আবার শার্টার বন্ধ করে দিয়ে ভেতরে চলে কেনাবেচা। প্রশাসন প্রতিদিন ভ্রাম্যমাণ আদলতে জরিমানা করলেও পাল্টাচ্ছে না এমন চিত্র। ফলে লকডাউন ভাঙার অসুস্থ্য এ প্রতিযোগিতা ও করোনা সংক্রমণের ঝুঁকি বাড়ছেই।