মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

২১ জুন দেখা যাবে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ

বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে চলতি মাসের ২১ তারিখ। এভাবে সূর্যগ্রহণকে ইংরেজিতে বলা হয় ‘রিং অব ফায়ার’। জানা গেছে, বাংলাদেশের বিভিন্ন স্থান থেকেও আংশিকভাবে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। মহাকাশ ও জ্যোতির্বিদ্যাবিষয়ক ওয়েবসাইট স্পেস ডটকম এ তথ্য জানিয়েছে।

আফ্রিকা ও এশিয়ায় ২১ জুন বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আংশিকভাবে দেশের বিভিন্ন জায়গা থেকে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে।

২১ জুন স্থানীয় সময় সকাল ৯টা ৪৬ মিনিট ৬ সেকেন্ডে কঙ্গোর ইম্পফোন্ডো শহরের আকাশে সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। সর্বোচ্চ গ্রহণ ঘটবে ভারতের যোশীমঠ শহরে; ১২টা ৪০ মিনিট ৬ সেকেন্ডে। 

সূর্যগ্রহণের সময় এর সর্বোচ্চ মাত্রা .৯৯৩৬ থাকবে। কেন্দ্রীয় গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৩১ মিনিট ৪২ সেকেন্ডে ফিলিপাইনের সামার শহরে। আর সূর্যগ্রহণ শেষ হয়ে যাবে বিকেল ৩টা ৩৪ মিনিটে ফিলিপাইনের মিন্দানাও শহরের আকাশে।

বাংলাদেশের আবহাওয়া অধিদপ্তর জানিয়েছে, আকাশ পরিষ্কার থাকলে ২১ জুন বাংলাদেশ থেকেও আংশিকভাবে বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ দেখা যাবে। ঢাকার আকাশে ১১টা ২৩ মিনিট ৩ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। মংমনসিংহের আকাশে ১১টা ২৩ মিনিট ২ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে। চট্টগ্রামে ১১টা ২৮ মিনিট ১২ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৫৫ মিনিট ১৩ সেকেন্ডে।

এছাড়া, সিলেটে ১১টা ২৭ মিনিট ৪৭ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে, খুলনায় ১১টা ২০ মিনিট ১৯ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে, বরিশালে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে ১১টা ২৩ মিনিট ৫ সেকেন্ডে, রাজশাহীতে ১১টা ১৭ মিনিট ১৪ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে এবং গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৪৭ মিনিট ৫৫ সেকেন্ডে। 

অন্যদিকে রংপুরে ১১টা ১৭ মিনিট ৫৯ সেকেন্ডে সূর্যগ্রহণ শুরু হবে, কেন্দ্রীয় গ্রহণ ঘটবে দুপুর ১টা ৭ মিনিট ২০ সেকেন্ডে এবং গ্রহণ শেষ হবে দুপুর ২টা ৪৮ মিনিট ৩৩ সেকেন্ডে।

খালি চোখে মানুষকে সূর্যগ্রহণ দেখতে নিষেধ করেছেন নাসার বিজ্ঞানিরা। এমনকী সানগ্লাস বা এক্স-রে প্লেটও ব্যবহার না করা ভাল। টেলিস্কোপের সাহায্যে দেখার ক্ষেত্রেও সাবধনতা অবলম্বন করতে বলেছে নাসা। 

২১ জুন যে সূর্যগ্রহণ হবে, তা বলয়গ্রাস সূর্যগ্রহণ। এক্ষেত্রে চাঁদ সূর্যকে ঢেকে ফেলে। কিন্তু চাঁদের আয়তন ছোট হওয়ার সূর্য চাঁদের পাশ দিয়ে আলোর বিকিরণ ঘটায়। ফলে আকাশে আংটির মতো আকৃতি তৈরি হয়। ইংরেজিতে যাকে বলে ‘রিং অব ফায়ার’।