সোমবার, ২৯ এপ্রিল ২০২৪, ১৬ বৈশাখ ১৪৩১

নাগরপুরে আসন্ন জাতীয় সংসদ নির্বাচনে উপলক্ষে সাংবাদিকবৃন্দের সাথে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু’র মতবিনিময়

আলিজা বিনতে আশরাফ : আসন্ন দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন উপলক্ষে নাগরপুর প্রেসক্লাবের উদ্যোগে প্রেসক্লাব কার্যালয়ে আজ ২১জুলাই’২৩ রোজ শনিবার দুপুর ১২ ঘটিকার সময় সকল সাংবাদিকবৃন্দদের সাথে মতবিনিময় অনুষ্ঠিত হয়েছে।

নাগরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সভাপতি আখতারুজ্জামান বকুলের সভাপতিত্বে, সাধারণ সম্পাদক মোঃ এরশাদ মিয়ার সঞ্চালনায় মতবিনিময় অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে আসন অলংকৃত করেন দক্ষিণ টাঙ্গাইলের গর্ব, নাগরপুর দেলদুয়ারের গণমানুষের নেতা, বাংলাদেশ আওয়ামী লীগ কেন্দ্রীয় যুব ও ক্রীড়া উপ-কমিটির অন্যতম সদস্য, টাঙ্গাইল জেলা আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি, সময়ের সাহসী সন্তান, কর্মীবান্ধব জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক ও নাগরপুর সদর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে বারবার নির্বাচিত সফল ও মানবতার চেয়ারম্যান মোঃ কুদরত আলী।

এ সময় অনুষ্ঠানটি দুটি পর্ব বিভক্ত ছিল। প্রথম পর্বে ছিল প্রশ্নোত্তর পর্ব এবং পরবর্তীতে ছিল সংক্ষিপ্ত আলোচনা সভা।

আগামী দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে নাগরপুর উপজেলার দলীয় বিভিন্ন সাংগঠনিক বিষয়ে সাংবাদিকদের সরাসরি প্রশ্নের উত্তর দেন উক্ত অনুষ্ঠানের প্রধান অতিথি জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু এবং বিশেষ অতিথি নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী লীগের সংগ্রামী সাধারণ সম্পাদক মো: কুদরত আলী।

পরবর্তীতে প্রধান অতিথির বক্তব্যে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু বলেন- আমাদের মাননীয় প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নির্দেশে স্থানীয় সংসদ সদস্য এর বিরুদ্ধে কোন মন্তব্য করা যাবে না, আমরাও চাই এই বিষয়ে কিছু না বলার জন‍্য। আমরা আমাদের নেত্রীর নির্দেশনাকে সম্মান জানাই, কিন্তু এমন কিছু পরিস্থিতি সৃষ্টি হয় যেখানে না বলে থাকা যায় না। বিগত কয়েকদিন আগে দেলদুয়ারের একটি অনুষ্ঠানে দেলদুয়ার উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি ফজলুর রহমানের উপস্থিতিতে স্থানীয় সংসদ সদস্য টাঙ্গাইল-৬ দেলদুয়ার নাগরপুর আসনে আ’লীগের যে সকল মনোনয়ন প্রত্যাশী নেতৃবৃন্দ মাঠে কাজ করছেন তাদেরকে নিয়ে স্থানীয় সংসদ সদস্য একটি কুরুচিপূর্ণ এবং অরাজনৈতিক, উস্কানিমূলক বক্তব্য প্রদান করেন। এ বিষয়ে আমি তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানাই এবং এ ধরনের বক্তব্য পরিহার করার জন্য অনুরোধ জানাই।

আজকে নাগরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সাংবাদিকবৃন্দ আমাকে এখানে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছেন এই জন্য আপনাদের সকলকে আমি ধন্যবাদ ও কৃতজ্ঞতা জানাই। পাশাপাশি আপনাদেরকে সত্য ও বস্তুনিষ্ঠ সংবাদ পরিবেশন করার জন্য আহ্বান জানাই।

আগামী দিনে নাগরপুর প্রেসক্লাবের উন্নয়নকল্পে আমার পক্ষ হতে সার্বিক সহযোগিতা অব্যাহত থাকবে।

অতীতে যেরকম আপনাদের সাথে ছিলাম, বর্তমানে যেভাবে আপনাদের সাথে রয়েছি এবং ভবিষ্যতেও একইভাবে আপনাদের সাথে থেকে কাজ করে যাব, ইনশাআল্লাহ্।

বিশেষভাবে উল্লেখ্য প্রশ্ন উত্তর পর্বের একপর্যায়ে জননেতা তারেক শামস্ খান হিমু নাগরপুরের উন্নয়ন পরিকল্পনা নিয়ে বলেন- নাগরপুর নিয়ে আমার মূল স্বপ্ন হচ্ছে নদী ভাঙ্গনের স্থায়ী বাঁধ নির্মাণ করে সেখানে একটি সুন্দর পার্ক করে দেওয়া যেখানে নাগরপুরের সকল শ্রেণী পেশার এবং সকল বয়সের মানুষ প্রকৃতির সৌন্দর্য উপভোগ করার জন্য যেতে পারেন। পাশাপাশি নাগরপুরের মূল সড়কগুলো আলোকিত করে তোলা যেন রাতে চলাচলে সাধারণ মানুষের কষ্ট না হয় এবং প্রত্যেকটি ইউনিয়ন থেকে উপজেলা সদরের সংযোগ সড়ক সম্পূর্ণরূপে পাকা করাই হচ্ছে আমার স্বপ্ন। আমি আপনাদের সকলের সহযোগিতা নিয়ে আগামী দিনে এই স্বপ্ন বাস্তবায়ন করতে চাই।

এ সময় উপস্থিত ছিলেন নাগরপুর উপজেলা আ’লীগের সহ-সভাপতি অ্যাডভোকেট আযাহারুল ইসলাম, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক সৈয়দ নাজমুল হক তপন, সাংস্কৃতিক সম্পাদক দেলদার আহমেদ সুবন, মহিলা বিষয়ক সম্পাদক রৌশনারা মাসুদা, নাগরপুর উপজেলা আ’লীগ সদস্য আব্দুল আলিম, নাগরপুর উপজেলা আ’লীগ সদস্য ও পাকুটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সভাপতি শামসুল আলম সরকার, আওয়ামী লীগ সদস্য সামেজ মিয়া, নাগরপুর উপজেলা আওয়ামী যুবলীগের যুগ্ম-আহ্বায়ক শাহিনুর রহমান শাহিন, নাগরপুর উপজেলা ছাত্রলীগের সহ-সভাপতি রবিন হোসন, যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক শাকিল আহমেদ, উপজেলা শ্রমিক লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক মোঃ বাদশা মিয়া।

এছাড়া আরো উপস্থিত ছিলেন মামুদনগর ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান মোঃ জজ কামাল, পাকুটিয়া ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শামীম খান, সহবতপুর ইউনিয়ন আ’লীগের সাধারণ সম্পাদক মোঃ উজ্জল সরকার, নাগরপুর সরকারি কলেজ ছাত্র সংসদের সাবেক জিএস মোঃ শফিকুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা আনিসুর রহমান নান্নু, যুবলীগ নেতা সিরাজুল ইসলাম সহ নাগরপুর উপজেলা প্রেসক্লাবের সম্মানিত সকল সাংবাদিকবৃন্দ, অনলাইন সাংবাদিক ফোরাম নাগরপুর উপজেলার সাংবাদিকবৃন্দ সহ উপজেলা আ’লীগ, ছাত্রলীগ, শ্রমিক লীগ যুবলীগ ও সহযোগী এবং ভাতৃপ্রতিম সংগঠনের বিভিন্ন পর্যায়ের নেতৃবৃন্দ।