শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাইন্ড এইড ‘হাসপাতালই’ নয়: অভিযানে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল

নিজস্ব সংবাদদাতা : চিকিৎসার দোহাই দিয়ে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিমকে পিটিয়ে হত্যা করার ঘটনায় রাজধানীর আদাবরে অবস্থিত মাইন্ড এইড সাইকিয়াট্রি অ্যান্ড ডি-অ্যাডিকটেড হাসপাতালটি বন্ধ করে দিয়েছে পুলিশ। এ ঘটনায় নিহতের বাবার করা মামলার আসামি প্রতিষ্ঠানটির অন্যতম মালিক, চিকিৎসক নিয়াজ মোর্শেদ রয়েছেন পুলিশের নজরদারিতে। পুলিশ সূত্রের খবর, অসুস্থতার কারণে মামলার এ আসামি নিউরোসায়েন্স হাসপাতালে চিকিৎসাধীন। তিনি মাইন্ড এইডের অন্যতম একজন পরিচালক। এর আগে গতকাল সকালে সংবাদ সম্মেলন করে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ জানান, মামলায় হাসপাতালটির ১০ কর্মকর্তা-কর্মচারীকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। তারা সবাই নিহতের বাবার করা মামলার আসামি। গতকাল তাদের আদালতে তোলার পর প্রত্যেকের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত।

জানা গেছে, মাদক নিরাময়কেন্দ্রের আড়ালে মূলত এখানে হাসপাতালের ব্যবসা খুলে বসা হয়েছিল। প্রতিষ্ঠানটির ছিল না স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের কোনো অনুমোদন। উপরন্তু তিনতলা হাসপাতালটিতে চিকিৎসার নামে চলত অবৈধ কর্ম। হাসপাতালটির বিভিন্ন ফ্লোরে ছিল বেশ কিছু অফিস কক্ষ। রোগীদের কক্ষ, খেলার জন্য বিলিয়ার্ড বোর্ড দেখা যায়। তবে এসবের আড়ালে দ্বিতীয় ও তৃতীয় তলার শব্দনিয়ন্ত্রণ করা দুটি কক্ষ ব্যবহার করা হতো নির্যাতনের কক্ষ হিসেবে। মানসিক চিকিৎসার নামে হাসপাতালটিতে রোগীদের ওপর বল প্রয়োগে মারধর ছিল নিয়মিত চিত্র। ওয়ার্ডবয়, বাবুর্চি, ফার্মাসিস্ট, মার্কেটিং ম্যানেজার ও দালালরাই কথিত চিকিৎসকের ভূমিকায় নামতেন। তারা বল প্রয়োগকে চিকিৎসা প্রক্রিয়ার অংশ মনে করেন। গতকাল মঙ্গলবার সরেজমিন আদাবরের মাইন্ড এইড হাসপাতালে গেলে কয়েক কর্মী নাম প্রকাশ না করে বল প্রয়োগের বিষয়টি স্বীকার করেন।

এদিকে হাসপাতালের কর্মীদের মারধরে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম নিহত হওয়ার ঘটনায় শোকের পাশাপাশি বিচারের দাবিতে সোচ্চার হয়েছেন তার বন্ধু ও সহকর্মী পুলিশ সদস্যরা। তাদের অনেকেই সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে এ ঘটনার সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ তদন্তপূর্বক বিচারের দাবি তুলেছেন। গতকাল দুপুরে আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালের সামনে মানববন্ধন করেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ^বিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। তারা আনিসুল করিম হত্যায় জড়িতদের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তি দাবি করেন।

এ ঘটনায় আনিসুলের বাবা ফাইজ্জুদ্দিন আহমেদ হাসপাতালটির ১৫ জনকে আসামি করে একটি হত্যা মামলা দায়ের করেছেন আদাবর থানায়। তাদের মধ্যে এই ১০ জনকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। ওই ১০ জনের ৭ দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। পুলিশ ঘটনাটিকে পরিকল্পিত বলে উল্লেখ করলেও ঠিক কী কারণে আনিসুলকে মারধর করা হয়েছিল, তা জানা যায়নি।

এ বিষয়ে জানাতে গতকাল মঙ্গলবার আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ঢাকা মহানগর পুলিশের তেজগাঁও বিভাগের উপকমিশনার (ডিসি) মোহাম্মদ হারুন অর রশিদ বলেন, সোমবার সরকারি মানসিক হাসপাতালে ভর্তির কিছুক্ষণ পরই আনিসুলকে ওই নিরাময়কেন্দ্রে নেওয়া হয়। পরিবারের সদস্যরা সকাল সাড়ে ১০টার দিকে আনিসুলকে সেখানে নেওয়ার পর প্রথমে তাকে নাস্তা খেতে দেওয়া হয়। কিছুক্ষণ পর তিনি ওয়াশরুমে যেতে চাইলে হাসপাতালের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয় তাকে দোতলায় নিয়ে যান। তার বোন উম্মে সালমা সেখানে যেতে চাইলে তাকে বাধা দিয়ে গেট আটকে দেওয়া হয়। আনুমানিক বেলা ১২টার দিকে আরিফ মাহমুদ জয় নিচে এসে আনিসুল করিমের বোনকে দোতালায় নিয়ে যান। সেখানে আনিসুল করিমকে একটি রুমের ফ্লোরে নিস্তেজ অবস্থায় শোয়া দেখতে পান তার বোন। দ্রুত জাতীয় হৃদরোগ ইনসটিটিউটে নেওয়া হলে চিকিৎসকরা আনিসুলকে মৃত ঘোষণা করেন।

পুলিশের এই ডিসি আরও বলেন, সেখানে আসলে কী ঘটেছিল তা জানতে আমরা হাসপাতালের সিসি ক্যামেরার ফুটেজ বিশ্লেষণ করি। দেখা গেছে কয়েকজন মিলে মারতে মারতে আনিসুল করিমকে হাসপাতালের দোতলার একটি রুমে ঢোকায়। সেখানে তাকে মেঝেতে উপুড় করে শুইয়ে ফেলা হয় এবং তিন-চারজন পিঠের ওপর হাঁটু দিয়ে চেপে বসে। কয়েকজন তার হাত ওড়না দিয়ে পিছমোড়া করে বেঁধে ফেলে। তিনি বলেন, কয়েক আসামি কনুই দিয়ে তার ঘাড়ের পেছনে ও মাথায় আঘাত করে। একজন মাথার ওপরে চেপে বসে এবং সবাই মিলে পিঠ, ঘাড়সহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে কিল-ঘুষি মারতে থাকে। এক পর্যায়ে আনিসুল করিম নিস্তেজ হয়ে পড়েন।

নিহতের বড় ভাই রেজাউল করিম সবুজ গতকাল অভিযোগ করেন, আমার ভাই অনেকটাই চাপা স্বভাবের ছিল। অনেক কথা তার বন্ধুদের কাছেও শেয়ার করত না। গত শুক্রবার থেকেই চাকরি ও বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সে মানসিক চাপ বোধ করছিল। এসব নিয়ে সে মানসিকভাবে কিছুটা অবসাদগ্রস্ত হয়ে পড়ে। এসব কারণে আমার বাবা ও তার শ^শুর তার কর্মস্থলে গিয়ে ১০ দিনের ছুটি নেন এবং তাকে ঢাকায় নিয়ে আসেন চিকিৎসার জন্য। বিভিন্ন হাসপাতালের খোঁজ নেওয়ার পর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে সাইনবোর্ডে দেখতে পেলাম সেখানে ভালো ভালো ডাক্তার বসেন। সেখানে জানতে পারলাম প্রতিদিন দুবার বিশেষজ্ঞ দিয়ে রোগী ফলোআপ করা হয়। প্রতিদিন সেখানে রোগীর জন্য বেড ও অন্যান্য ফি বাবদ চার হাজার টাকা ব্যয় হয়। এসব জানার পর ভাইয়ের সু চিকিৎসার জন্য সেখানে যাই। শিপনের পাইলসের সমস্যাও ছিল। সেখানে যাওয়ার পর তার ওয়াশরুমে যাওয়ার প্রয়োজন হয়। পরে সেখানে থাকা হাসপাতালের আহমদ রিপন নামের এক ব্যক্তি তাকে হাসপাতালের ওয়াশরুমে নেওয়ার কথা বলে দোতলায় নিয়ে যান।

গতকাল সরেজমিনে কথিত হাসপাতালটিতে দেখা মেলে রান্নায় নিয়োজিত কর্মী শারমিন আক্তারের। তিনি আমাদের সময়কে বলেন, আমি সাধারণত নিচে রান্না করতাম। ওপরে কী হতো সেটি আমি জানতে পারতাম না। কারণ আমার ওপরে আসা নিষেধ ছিল। তবে ওই দিন আনিসুল করিমকে মারধরের পর পুরো হাসপাতালে বিষয়টি জানাজানি হয়ে যায়।

অপর একজন জানান, আনিসুল করিম মাইন্ড এইড হাসপাতালের ম্যানেজারকে ধাক্কা দেন। এর পরই হাসপাতালের কর্মীরা তাকে দোতলায় নিয়ে নির্যাতন চালান।

হাসপাতাল ছিল অনুমোদনহীন

মাইন্ড এইড কোনো হাসপাতাল নয় বলে জানিয়েছে স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের প্রতিনিধি দল। মাদক নিরাময়কেন্দ্রের অনুমতি নিয়ে প্রতিষ্ঠানটি হাসপাতাল পরিচালনা করছিল বলেও গণমাধ্যমকে জানান তারা। গতকাল মঙ্গলবার দুপুর ১২টার পর আদাবরের মাইন্ড এইডে অভিযান চালায় স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের একটি প্রতিনিধি দল। সেখানকার কাগজপত্র যাচাই-বাছাই করে তারা জানতে পারেন, প্রতিষ্ঠানটি আদৌ কোনো হাসপাতাল নয়। বরং তারা সেখানে মাদক নিরাময়কেন্দ্রের আড়ালে হাসপাতাল চালিয়ে আসছিল। অনুমোদন না থাকলেও সর্বশেষ ১৭ জন রোগী চিকিৎসাধীন ছিলেন। তবে সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম নিহত হওয়ার পর সব রোগী হাসপাতাল ছেড়েছেন।

গ্রেপ্তারকৃতরা ৭ দিনের রিমান্ডে

সিনিয়র এএসপি আনিসুল করিম মাইন্ড এইড হাসপাতালে নিহত হওয়ার মামলায় ১০ জনের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেছেন আদালত। ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদনের শুনানি শেষে গতকাল মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর হাকিম শহিদুল ইসলাম এ রিমান্ডের আদেশ দেন।

রিমান্ডে যাওয়া আসামিরা হলেন- মাইন্ড এইডের মার্কেটিং ম্যানেজার আরিফ মাহমুদ জয়, কো-অর্ডিনেটর রেদোয়ান সাব্বির, কিচেন শেফ মাসুদ, ওয়ার্ডবয় জোবায়ের হোসেন, তানিফ মোল্লা, সজীব চৌধুরী, অসীম চন্দ্র পাল, লিটন আহাম্মদ, সাইফুল ইসলাম পলাশ ও ফার্মাসিস্ট তানভীর হাসান।

মামলার তদন্ত কর্মকর্তা আদাবর থানার পরিদর্শক (অপারেশন) মো. ফারুক মোল্লা আসামিদের ১০ দিন করে রিমান্ড আবেদন করেন।

রিমান্ড আবেদনে বলা হয়, আসামিরা মাইন্ড এইড হাসপাতালের বাবুর্চি, ওয়ার্ডবয়, মার্কেটিং অফিসার, কো-অর্ডিনেটর হিসেবে কর্মরত। হাসপাতালটির মালিক ও পরিচালক কমিটির সদস্য মুহাম্মদ নিয়াজ মোর্শেদ, আব্দুল্লাহ আল মামুন, সাখাওয়াত হোসেন, সাজ্জাদ আমিন ও মোছা ফাতেমা খাতুন ময়না অনুমোদনহীন হাসপাতালটি প্রতিষ্ঠা করে দীর্ঘদিন যাবৎ প্রতারণার মাধ্যমে চিকিৎসার নামে অবৈধ অর্থ উপার্জন করে আসছিলেন। গত ৯ নভেম্বর আনিসুল করিমকে উন্নত চিকিৎসার আশায় পরিবার হাসপাতালে নিয়ে আসে। তখন মানসিক চিকিৎসা দিতে পারেন এমন কোনো ডাক্তার হাসপাতালে কর্তব্যরত ছিলেন না। আসামিরা চিকিৎসা দেওয়ার অজুহাতে ভিকটিমকে বলপ্রয়োগ করে হাসপাতালের দোতলায় স্থাপিত একটি অবজারভেশন কক্ষে নিয়ে যান। কক্ষে প্রবেশের সময় গ্রেপ্তার ১০ আসামি আনিসুল করিমকে মারতে মারতে অবজারভেশন রুমে ঢোকান। ভিকটিমকে ঘাড়ে, পিঠে ও মাথাসহ শরীরের বিভিন্ন স্থানে আঘাত করে রুমের ফ্লোর মেটের ওপর ফেলে আঘাত করেন। কয়েকজন দুই হাত পিঠমোড়া করে ওড়না দিয়ে বাঁধেন। আসামিদের এমন অমানসিক নির্যাতনে আনিসুল করিমের মৃত্যু ঘটে। পলাতক আসামিদের গ্রেপ্তারসহ মামলার সুষ্ঠু তদন্তের স্বার্থে আসামিদের ১০ দিনের রিমান্ড মঞ্জুর করা প্রয়োজন।

রাষ্ট্রপক্ষে ঢাকা মহানগর পাবলিক প্রসিকিউটর আব্দুল্লাহ আবু রিমান্ড মঞ্জুরের পক্ষে ও জামিনের বিরোধিতা করে শুনানি করেন। আসামিদের পক্ষে ঢাকা বারের সাবেক সাধারণ সম্পাদক অ্যাডভোকেট মিজানুর রহমান মামুন, আবুল কালাম আজাদ, মাহমুদুল হাসান রিমান্ড বাতিলপূর্বক জামিন চেয়ে শুনানি করেন।

আসামিপক্ষের আইনজীবীরা রিমান্ড বাতিল করে জামিনের আবেদনের শুনানিতে বলেন, ডাক্তার কোনো রোগীর শত্রু নয়। হাসপাতালটি মানসিক হাসপাতাল। আনিসুল করিমকে মানসিক চিকিৎসার জন্য হাসপাতালে নেওয়া হয়। তিনি মাদকে আসক্ত ছিলেন। কেউ কি কাউকে মারতে পারে, যদি কোনো উদ্ভট পরিস্থিতি না হয়? মামলাটি হত্যা মামলা হওয়ার প্রশ্নই আসে না। তিনি পড়ে গিয়ে মারা গেছেন। কেন তাকে হত্যা করবে? তার সঙ্গে আসামিদের পূর্বশত্রুতার সূত্র থাকতে হবে। পোস্টমর্টেম করার পর আসল রহস্য বেরিয়ে আসবে। আসামিদের রিমান্ডে যাওয়া মানে জিজ্ঞাসাবাদের নামে তাদের টর্চার করা।

জবাবে রাষ্ট্রপক্ষের আইনজীবী বলেন, মাদকে আসক্ত থাকতে পারে। এজন্য তাকে মারধর করতে হবে? মেরে ফেলতে হবে? আসামিদের রিমান্ডে নিয়ে জিজ্ঞাসাবাদ করলে প্রকৃত রহস্য বেরিয়ে আসবে। উভয় পক্ষের শুনানি শেষে আদালত প্রত্যেকের সাত দিন করে রিমান্ড মঞ্জুর করেন।

সাভার প্রতিনিধির পাঠানো খবরে গতকাল জানানো হয়, আনিসুল করিম হত্যাকা-ের প্রতিবাদে মানববন্ধন ও প্রতিবাদ সমাবেশ করেছেন জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ও বর্তমান শিক্ষার্থীরা। দুপুরে ক্যাম্পাসের সামনের ঢাকা-আরিচা মহাসড়কের পাশে এ কর্মসূচি পালনকালে বক্তারা বলেন, দেশে কেউ আর এখন কোনো আইন-কানুনের তোয়াক্কা করছে না। নিয়ম-নীতি না থাকায় চিকিৎসার নামে অকালে ঝরে যেতে হয়েছে পুলিশের এই কর্মকর্তাকে। সুষ্ঠু তদন্তের মাধ্যমে দোষীদের বিরুদ্ধে দ্রুত ব্যবস্থা গ্রহণ এবং সর্বোচ্চ শাস্তি নিশ্চিত করার দাবিও জানানো হয় এই কর্মসূচি থেকে।

নিহত ওই পুলিশ কর্মকর্তার জানাজায় অংশগ্রহণ শেষে জিএমপির অতিরিক্ত পুলিশ কমিশনার মো. আজাদ মিয়া বলেন, আনিসুল করিমের মৃত্যুতে আমরা সবাই শোকার্ত। আমরা তার বিদেহী আত্মার মাগফিরাত কামনা করছি। তিনি নিহতের পরিবারকে গাজীপুর মেট্রোপলিটন পুলিশের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহযোগিতার আশ্বাস দেন।

কাপাসিয়া উপজেলা পরিষদ চেয়ারম্যান অ্যাডভোকেট আমানত হোসেন খান বলেন, বেশির ভাগ বেসরকারি হাসপাতালে সুচিকিৎসা হচ্ছে না। এ ধরনের মানসিকতা যাদের রয়েছে, তাদের লাইসেন্স বাতিল করে আইনের আওতায় আনা হোক।

নিহতের ভাই রেজাউল করিম বলেন, আমরা প্রধানমন্ত্রী ও আইজিপির কাছে বিচার চাই। একজন সিনিয়র এএসপির চিকিৎসার হাল যদি এমন হয়, সেখানে সাধারণ মানুষ কী চিকিৎসা পায় তা নিয়ে সন্দেহ রয়েছে।

নিহতের বাবা মো. ফাইজ উদ্দিন সাংবাদিকদের জানান, সোমবার আনিসুল করিমকে মানসিক চিকিৎসার জন্য রাজধানীর আদাবরে মাইন্ড এইড হাসপাতালে নেওয়া হয়। ওই হাসপাতালে ভর্তির পর পরই সেখানকার কর্মকর্তা-কর্মচারীরা তাকে পিটিয়ে হত্যা করেছেন।

জাহাঙ্গীরনগর বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাণরসায়ন ও অণুপ্রাণবিজ্ঞান বিভাগের ৩৩ ব্যাচের ছাত্র আনিসুল করিম। ৩১তম বিসিএসে পুলিশ কর্মকর্তা হিসেবে তিনি নিয়োগ পান। এক সন্তানের জনক আনিসুলের বাড়ি গাজীপুরে। র‌্যাব, পুলিশ সদর দপ্তরে দায়িত্ব পালন করে সর্বশেষ আনিসুল করিম বরিশাল মহানগর পুলিশে কর্মরত ছিলেন।