শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

মাঠে স্বেচ্ছাসেবক টাঙ্গাইলের করোনা প্রতিরোধে

টাঙ্গাইলের ঘাটাইলে প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে নিজেদের উৎসর্গ করে স্বেচ্ছায় কাজ করছেন একঝাঁক স্বেচ্ছাসেবক। করোনা প্রতিরোধে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে শুরু থেকেই যারা কাজ করছেন তাদের মধ্যে অন্যতম হলো- ঘাটাইলের কথা, নান্দনিক ঘাটাইল, হৃদয়ে ঘাটাইলসহ কয়েকটি স্বেচ্ছাসেবী সংগঠন। এ ছাড়াও এলাকা ভিত্তিক অনেক স্বেচ্ছাসেবক কাজ করে যাচ্ছেন। যেখানেই মানুষের সমাগম দেখেন সেখানেই গিয়ে হাজির হন তারা, আর অনুরোধ করেন সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে। মাইক হাতে সবারই একই ঘোষণা ‘আপনারা সামাজিক ও শারিরিক দূরত্ব বজায় রাখুন,অপ্রয়োজনে ঘরের বাইরে থাকবেন না, ঘরে থাকুন, সুস্থ থাকুন নিরাপদে থাকুন, স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলুন।’ উপজেলা প্রশাসন,উপজেলা পরিষদ, পৌর প্রশাসন, স্বেচ্ছাসেবক কর্মকান্ডে তাদেরকে পরিচয়পত্র প্রধান করে সহযোগিতার হাত বাড়িয়ে দিয়েছেন। সামাজিক যোযোগমাধ্যমে কমেন্ট করে অনেকেই তাদের এই স্বেচছাসেবী কার্যক্রমকে উৎসাহিত করছেন। স্বেচ্ছাসেবক দলের সদস্যরা করোনা প্রতিরোধে মানুষকে সামাজিক দূরত্ব বজায় রাখতে এবং তাদের স্বাস্থ্য সুরক্ষা নিশ্চিত করতে সকাল থেকে সন্ধা পর্যন্ত ছুটে চলেছেন পৌরসভাসহ উপজেলার এক প্রান্ত থেকে আরেক প্রান্তে। ছুটছেন প্রতিটি হাটবাজার, গুরুত্বপূর্ণ এলাকাসহ পাড়া-মহল অলিগলি। হ্যান্ডমাইক হাতে নিয়ে ঘরে থাকতে অনুরোধ করছেন মানুষকে। রাস্তা-অলিগলিতে ছিটাচ্ছেন জীবাণুনাশক। উপজেলা প্রশাসন, বিভিন্ন রাজনৈতিক, সামাজিক, স্বেচ্ছাবেী সংগঠন এবং ব্যক্তি উদ্যোগে লিফলেট, মাস্ক, হ্যান্ড স্যানিটাইজার, ত্রাণ ও খাদ্য সামগ্রী বিতরণের কাজে সার্বিক সহযোগিতা করছেন এবং স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে অনুরোধ করছেন। এ ছাড়াও প্রতিটি এলাকার গুরুত্বপূর্ণ সড়কে চেকপোস্ট বসিয়ে বাইরে থেকে আসা মানুষদের বুঝিয়ে নিশ্চিত করছেন তাদের হোম কোয়ারেন্টিনে থাকার কথা। উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা অঞ্জন কুমার সরকার বলেন, মহামারি করোনা প্রতিরোধে সব শ্রেণী পেশার মানুষের সহযোগিতা দরকার। দুর্যোগকালীন সময়ে তাদের এই মহৎ কাজকে উৎসাহিত করি। তবে স্বেচ্ছাসেবক নামধারী কেউ অপকর্মে লিপ্ত হলে তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।