শনিবার, ২৭ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

রোজা রেখেই গার্মেন্টস কর্মীরা পায়ে হেঁটেই যাচ্ছে কর্মস্থলে

আমি রোজা, জামালপুর থেকে এলেঙ্গা পর্যন্ত আসতে ৮বার সিএনজি-অটোরিক্সা পাল্টাতে হয়েছে।এর মধ্যে কয়েক কিলোমিটার রাস্তা পায়ে হেটেই এসেছি। রোজা থাকার কারনে এখন আর হাটতে পারছিনা। এমন করেই কথাগুলো বলছিলেন জামালপুর থেকে আসা গার্মেন্টসকর্মী রোজিনা। তিনি জানান,গেল মাসের বেতনও দেয়া হয়নি আমাদের।এখন না গেলে বেতনতো দেবেইনা চাকরি থেকে বের করে দেয়ার হবে জানিয়েছে মালিক পক্ষ। করোনাভাইরাসের কারনে সরকারের সাধারণ ছুটির বাড়ানো হয়েছে।ফলে বেড়েছে গণপরিবহন বন্ধের ঘোষনাও। তবে বাড়েনি গার্মেন্টসকর্মীদের ছুটি। এজন্য ভোররাত থেকেই কর্মস্থলে যোগ দিতে শতশত কর্মীর স্রোত দেখা গেছে ঢাকা-টাঙ্গাইল মহাসড়কে। গণপরিবহন না থাকায় অনুমোদনহীন যানবাহনে অতিরিক্ত ভাড়া দিয়ে ও পায়ে হেঁটে চরম ঝুঁকি নিয়েই কর্মস্থলে যাচ্ছেন তারা। গার্মেন্টসকর্মীরা জানান, সবগাড়ি বন্ধ রেখে (২৬ এপ্রিল) রবিবার থেকে গার্মেন্টস খোলার বিষয়টি জানানো হয়েছে তাদের । কাজে যোগ না দিলে চাকুরি থেকে ছাটাই করা হবে। তাই জিবনের ঝুকি নিয়েই মাইলের পর মাইল পায়ে হেটেই কর্মস্থলে যাওয়ার চেষ্টা করছেন তারা। এদিকে মহাসড়কে চোখে পড়েনি পুলিশি তৎপরতা। এলেঙ্গা বাসস্ট্যান্ড এলাকায় লোক দেখানো দু-একটি অনুমোদনহীন যানবাহন থেকে যাত্রী নামিয়ে দিচ্ছে পুলিশ। এবিষয়ে কোন কথা বলতেই রাজি হয়নি ট্রাফিক সার্জেন্ট আল-আমিন।