মঙ্গলবার, ৩০ এপ্রিল ২০২৪, ১৭ বৈশাখ ১৪৩১

ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার প্রতি বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন: রিজভী

সরকারি ছুটি প্রত্যাহারের সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্তকবার্তার প্রতি সরকারের ‘বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন’ বলে মন্তব্য করেছেন রুহুল কবির রিজভী। বৃহস্পতিবার দুপুরে এক সংবাদ ব্রিফিংয়ে বিএনপির জ্যেষ্ঠ যুগ্ম মহাসচিব এই মন্তব্য করেন। রাজধানীর নয়াপল্টনে দলের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে ভার্চুয়ালে এই সংবাদ ব্রিফিং হয়।
রিজভী বলেন, ‘ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন তুলে নেয়ার পদক্ষেপের মাধ্যমে সরকার কি প্রমাণ করতে চায়- করোনার থেকে তারা শক্তিশালী? এই ছুটি প্রত্যাহারের মাধ্যমে লক্ষ লক্ষ মানুষকে আক্রান্তের দিকে ঠেলে দেওয়া হলো। এটা সরকারের সবচাইতে বড় আত্মঘাতি সিদ্ধান্ত।
মানুষকে বিপদে ফেলে দেয়ার এই সিদ্ধান্ত বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সর্তকতা বার্তার প্রতিও সরকারের বৃদ্ধাঙ্গুলি প্রদর্শন। আমরা দৃঢ়তার সাথে বলতে চাই, এই ছুটি প্রত্যাহারের জন্য করোনা ভাইরাসে প্রাণহানির সকল দায় সরকারকেই নিতে হবে।
তিনি বলেন, এখনই উপযুক্ত সময়ই ছিলো কিছুদিনের জন্য হার্ড-লকডাউন কার্য্কর করে ব্যাপক জনগনকে টেস্টের আওতায় এনে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনা। কিন্তু সরকার সেই পথে না গিয়ে হাঁটছে মৃত্যুর মিছিল বাড়ানোর পথে।পৃথিবীর বিভিন্ন দেশে অধিক সংখ্যক টেস্ট এবং কঠোর লকডাউনের মাধ্যমে আক্রান্ত ও মৃত্যু নিয়ন্ত্রণে আনার পর লকডাউন শিথিল করেছে আর বাংলাদেশে করোনা সংক্রামণ ও মৃত্যুর ভীতিকর মাত্রায় প্রতিটি মানুষ যখন আতংকিত-উতকন্ঠিত তখন ছুটির নামে তথাকথিত লকডাউন প্রত্যাহার করা হলো। করোনা মহামারী মোকাবিলায় সরকারের ‘অপরিকল্পিত, দায়সারা ও দায়িত্বজ্ঞানহীন’ কর্মকান্ডের কঠোর সমালোচনা করেন তিনি।
বিরোধী দলের নেতা-কর্মীদের ওপর সরকারের আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর দমনপীড়নের প্রসঙ্গ টেনে সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব বলেন, গত এক দশকে প্রতিটি ঘটনা বিরোধী দল ও মতের মানুষের বিরুদ্ধে র্যা ব-পুলিশ লেলিয়ে দিয়ে ক্ষমতাসীনরা পরিস্থিতির উপর জবরদস্তিমূলক নিয়ন্ত্রণ বজায় রাখার অপচেষ্টায় লিপ্ত ছিলো। এবারো মনে হয় তারা(র্যা ব-পুলিশ) একই কায়দায় পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করার পরিকল্পনা করে যাচ্ছে।