শুক্রবার, ২৬ এপ্রিল ২০২৪, ১৩ বৈশাখ ১৪৩১

সংসদের বিশেষ অধিবেশন আজ সন্ধ্যায়

নিজস্ব সংবাদদাতা : জাতীয় সংসদের দশম অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবনজুড়ে উৎসবের আমেজ চলছে। করোনা পরিস্থিতির মধ্যে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলছে নানা আয়োজন। বিশেষ অধিবেশনে রাষ্ট্রপতি ভাষণ দেবেন তাই বাড়তি প্রস্ততিও নেওয়া হয়েছে।

সংসদ সচিবালয়ের দেওয়া তথ্যানুযায়ী, স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরীর সভাপতিত্বে রোববার (৭ নভেম্বর) সন্ধ্যা ৬টায় অধিবেশন শুরু হচ্ছে। জাতির জনক বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী (মুজিববর্ষ-২০২০) উপলক্ষে এই অধিবেশনকে বিশেষ হিসেবে ঘোষণা করা হয়েছে। অধিবেশনের প্রথম দিনে শোক প্রস্তাব ও অধ্যাদেশ উত্থাপন করা হবে। পরদিন ৯ অক্টোবর সন্ধ্যা ৬টায় বিশেষ অধিবেশনের কার্যক্রম শুরু হবে।
সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তারা জানান, বিশেষ অধিবেশনকে সামনে রেখে প্রস্ততি শেষপর্যায়ে সংসদ সদস্য, সাংবাদিকসহ সংসদ সচিবালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের কভিড-১৯ নমুনা পরীক্ষা চলছে। সংসদ ভবনের মিডিয়া সেন্টার ও মেডিক্যাল সেন্টার এই পরীক্ষার নমুনা সংগ্রহ করা হচ্ছে। করোনা নেগেটিভ ব্যক্তিরাই বিশেষ অধিবেশনে প্রবেশ করতে পারবেন।
সংসদ ভবন ঘুরে দেখা গেছে, বিশেষ অধিবেশনকে সামনে রেখে সংসদ ভবনের অধিবেশন কক্ষে স্পিকার যেখানে বসেন, তার পেছনে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি টানানো হয়েছে। সংসদ ভবনের লেকে ভাসানো হয়েছে গ্রামবাংলার ঐতিহ্য দৃষ্টিনন্দন দুটি নৌকা। দেশের স্বাধীনতা ও উন্নয়নের প্রতীক এই নৌকা তৈরি করেছে বাংলাদেশ পর্যটন কর্পোরেশন।
স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী জানান, করোনা পরিস্থিতি বিবেচনায় রেখে সতর্কতার সঙ্গে বিশেষ অধিবেশন বসবে। অধিবেশনের শুরুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বঙ্গবন্ধুর কর্মময় জীবনের ওপর স্মারক বক্তৃতা করবেন। এরপর বঙ্গবন্ধুর ওপর সাধারণ আলোচনা হবে। করোনা পরিস্থিতির কারণে বিদেশি অতিথিরা না থাকলেও অধিবেশনকে স্মরণীয় করে রাখতে সকল প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।
জাতীয় সংসদের চিফ হুইপ নূর ই আলম চৌধুরী বলেন, শতভাগ স্বাস্থ্যবিধি মেনে কঠোর নিরাপত্তার মধ্যে অধিবেশনের কার্যক্রম পরিচালনা করা হবে। এক্ষেত্রে কোনো শৈথিলতা দেখানো হবে না। অধিবেশনের আলোচনা, সাজসজ্জা ও প্রদর্শনীতে বঙ্গবন্ধুর জীবন-কর্ম, দর্শন, রাজনৈতিক জীবন এবং সর্বপরি মহান এই নেতার বর্ণাঢ্য জীবনের উল্লেখযোগ্য দিক তুলে ধরা হচ্ছে। চার দিনের বিশেষ আলোচনা শেষে পরে অধিবেশনের সাধারণ কার্যক্রম চলবে বলেও তিনি জানান।
উল্লেখ্য, মুজিববর্ষ উপলক্ষে গত ২২ মার্চ সংসদের বিশেষ অধিবেশন (সপ্তম অধিবেশন) আহ্বান করা হলেও দেশে করোনা সংক্রমণ পরিস্থিতি বেড়ে যাওয়ায় তা স্থগিত করেন রাষ্ট্রপতি। পরিস্থিতি কিছুটা স্বাভাবিক হওয়ার পাশাপাশি সব ধরনের অফিস-আদালত খুলে দেওয়ার প্রেক্ষাপটে সর্বশেষ নতুন করে অধিবেশন ডাকা হয়েছে। আগামী ৯ থেকে ১২ নভেম্বর বিশেষ কার্যক্রম চললেও বাকি দিনগুলোতে চলবে সাধারণ কার্যক্রম। অধিবেশন চলার সম্ভাবনা রয়েছে আগামী ১৯ নভেম্বর পর্যন্ত।